Thursday, March 31, 2011

যুদ্ধাপরাধী ঘাতক দালাল রাজাকার - আব্দুল আলীম।

জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার সদস্য আব্দুল আলীম স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় জয়পুরহাট মহকুমার (বর্তমানে জেলা) শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আব্দুল আলীমের স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতা ও যুদ্ধাপরাধের বর্ণনা পাওয়া গেছে তৎকালীন সংবাদপত্র, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থ ও তার দ্বারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাৰ্য থেকে। গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত খলনায়ক আব্দুল আলীমের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী সোচ্চার হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।


একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আব্দুল আলীম ছিলেন কথিত শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোসর হয়ে তিনি তৈরি করেছিলেন এক রাজাকার বাহিনী। এই আলীম পাকি সেনা ও রাজাকারদের দিয়ে হত্যা করিয়েছেন এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযুদ্ধের সময় জয়পুরহাটের সীমান্ত দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন মুক্তিযোদ্ধারা। শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরে যে সীমান্তরেখা রয়েছে এই সীমান্ত পথ ধরেই মুক্তিযোদ্ধারা আসত। ট্রেনিং নেবার জন্য এই পথ ধরেই যেত। যেত বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শরণার্থীরা। রাজাকারেরা এই পথে ও আশপাশ থেকে হত্যা করত মুক্তিযোদ্ধাদের। হত্যা করত শরণার্থী শিবিরে যাওয়া উদ্বাস্তুদের। এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, দালাল আব্দুল আলীমের নির্দেশে অথবা পরামর্শে হানাদার পাকি সেনা ও রাজাকাররা কাদিরপুর ও পানপাড়া গ্রামে হত্যা করে ৩শ' ৬১ জন মানুষকে। ওই পথেরই পাগল দেওয়ান গ্রামে মাজারের পাশ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দশ হাজারেরও বেশি মানুষের লাশ চাপা দেয়া হয়েছে। এই বধ্যভূমিটি আবিষ্কার হয় প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় আগে। এই বধ্যভূমিতে অনেককে হত্যা করা হয়েছে আব্দুল আলীমের নির্দেশে। এ তথ্য জানিয়ে ক'জন মুক্তিযোদ্ধা জানান, রাজাকার আব্দুল আলীমের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। '৭১-এর ২৬ জুলাই হত্যা করা হয়েছে ডা. আবুল কাশেমকে। এই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ। দেশ বিজয় অর্জনের পর দালাল আইনে জয়পুরহাট থানায় প্রথম মামলাটি হয়েছিল আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে।

স্বাধীনতার অব্যাবহিত পরে দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত 'হানাদার বাহিনীর বর্বরতা মধ্যযুগীয় ঘাতকদেরও হার মানিয়েছে' শিরোনাম যুক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জয়পুরহাট শান্তি কমিটির নেতা জয়পুরহাট ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুসলিম লীগের আব্দুল আলীমকে একদিন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর সংখ্যালঘুদের দেশে ফেরার নিশ্চয়ই আর কোন বাধা নেই। উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে, ওদের ক্ষমা নেই। ওরা দেশে ফিরলেই ওদের সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে। শুনে স্তম্ভিত হতে হয়েছে। একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি যদি এ রকম ধারণা পোষণ করেন তবে সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে অল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত দালালদের কি রকম মনোভাব ছিল তা অতি সহজেই অনুমান করা যায়। বস্তুত ইয়াহিয়া খানের লোক দেখানো ৰমা ঘোষণার পরিপ্রেৰিতে যেসব মুষ্টিমেয় সংখ্যালঘু ফিরে এসেছিল তাদের আর পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখতে হয়নি। (দৈনিক বাংলা, ১২ জানুয়ারি ১৯৭২)।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আব্দুল আলীমের নারকীয় তৎপরতা সম্পর্কে প্রকাশিত অপর একটি তথ্য- 'আব্দুল আলীম সেই সময় নিজের হাতে বাঙালীদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছিলেন। এ ছাড়া বেয়নেট চার্জ করে বহু বাঙালীকে মারার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে।' তথ্য সূত্র : একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র, ঢাকা ১৯৮৭, পৃ. ৩৮-৩৯।

এই গ্রন্থে আব্দুল আলীমের একটি আলোকচিত্র মুদ্রিত হয়েছে, যার নিচে লেখা ছিল, '৭১-এ পাকবাহিনী জয়পুরহাটে বেশকিছু সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেফতার করে। চোখ বাঁধা অবস্থায় সারা শহর ঘোরানোর পর তাদের হত্যা করা হয়। ছবিতে এই অভিযানে নেতৃত্বাদানকারী মেজর আফজালের পাশে তদানীন্তন জয়পুরহাট শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম (চিহ্নিত) হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিল। সামনে উপবিষ্ট পেছনে হাত বাঁধা হতভাগ্য মুক্তিযোদ্ধারা। জয়পুরহাট মুক্ত হবার পর এখানে আব্দুল আলীমকে খাঁচায় পুরে জনসাধারণের দেখার জন্য রেখে দেয়া হয়েছিল।

জয়পুরহাটের শহীদ ডা. আবুল কাশেমের পুত্র ডা. কাজী নজরুল ইসলাম গণতদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন ১৯৭১ সালের ২৪ জুলাই দিবাগত রাতে আব্দুল আলীমের নির্দেশে জয়পুরহাট শহরের নিজ বাসা থেকে তার পিতা ডা. আবুল কাশেমকে পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকাররা বাড়ি ঘেরাও করে বলপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। সে রাতে তারা জয়পুরহাট স্টেশনে আবুল কাশেমের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে ২৫ জুলাই সকাল ৮ টায় তাঁকে শান্তি কমিটির অফিসে আব্দুল আলীমের কাছে নিয়ে যায়। স্থানীয় শওনলাল বাজনার গদিঘরটি আব্দুল আলীম ও তার সহযোগীরা দখল করে শান্তি কমিটির অফিস বানিয়েছিল। আবুল কাশেমকে তারপর আব্দুল আলীমের নির্দেশে জয়পুরহাট থানা ও পরে খঞ্জনপুরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ক্যাম্পে একদিন এক রাত আটক রাখার পর ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল আলীমের নির্দেশে আবুল কাশেমকে হত্যা করা হয়। এক মাস পর আখ ৰেতে শহীদ ডা. আবুল কাশেমের অর্ধগলিত মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। আব্দুল আলীমের নির্দেশে শহীদ ডা. আবুল কাশেমকে হত্যা করার ঘটনাটি সম্পর্কে বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা শামসুল আলমসহ আরও অনেকে সাৰ্য দিয়েছেন।

আব্দুল আলীমের সংঘটিত নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম গণতদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে পাহাড়পুরে পাকিস্তানীদের সাথে সম্মুখযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ফজলু আহত হয়েছিলেন। পরে তাকেসহ আরও দু'জনকে পাকিস্তানীরা আটক করে জয়পুরহাট শহরে নিয়ে সিও কলোনি হলরম্নম আদালতে আব্দুল আলীমের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। যে ট্রাকে করে দাঁড়িয়ে তখন আব্দুল আলীম উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন এই ফজলুর বাবা আমার একজন বন্ধু। আমি তার ছেলেকে এই পথ থেকে ফেরত আনার জন্য বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ফজলুকে সে ফেরত আনেনি। আজকে তার শাস্তি তাকে গ্রহণ করতে হবে। তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এখনও যারা আপনাদের বাড়ির আশপাশে জয় বাংলার কথা বলে তাদেরকে লাঠিকোপা করে মেরে ফেলেন। ফজলু ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাকে পরে ট্রাকে করে আব্দুল আলীমের বাড়িতে নিয়ে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। এরপর সকলকে খঞ্জনপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম মুক্তিযোদ্ধাদের সময় আব্দুল আলীম কর্তৃক নিরীহ গাড়োয়াল সম্প্রদায়কে হত্যা করার ঘটনা তার জবানবন্দীতে জানিয়েছেন। ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে পাকিস্তানী সৈন্যরা সড়ক থেকে ২৬ জন নিরীহ গাড়োয়ালকে ধরে আব্দুল আলীমের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। বাড়ির চাতালে ৩/৪ দিন আটকে রাখার পর আব্দুল আলীমের নির্দেশে গাড়োয়ালদের খঞ্জনপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আব্দুল আলীমের বাড়িটি ছিল জয়পুরহাটের রাজাকার রিক্রুটমেন্ট ক্যাম্প। আব্দুল আলীমের দায়িত্ব ছিল রাজাকার রিক্রুট করা।

মোলস্না শামসুল হক গণতদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন, মরহুম জামায়াত নেতা আব্বাস আলী খান ও আব্দুল আলীমের নির্দেশে ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে পাকিস্তানী সৈন্যরা কড়ইকাদিপুর গ্রামের হিন্দু এলাকা ঘেরাও করে ১৬৫ জন নিরীহ, নিদের্াষ মানুষকে হত্যা করে ও তাদের বাড়িঘর লুটপাট করে। আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতনের সঙ্গে সঙ্গে গণধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সৈন্য ও রাজাকাররা নিরীহ মা-বোনদের ওপর যে পাশবিক নির্যাতন করেছে সে সম্পর্কে আব্দুল আলীমের বক্তব্য ছিল যুদ্ধের সময় সেনা বাহিনী এমন ঘটনা ঘটায়ই। এটা কোন দোষের বিষয় নয়, দেশের স্বার্থে এটা মেনে নিতে হবে।

জয়পুরহাট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শামসুল আলম জানিয়েছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আব্দুল আলীম ও তার সহযোগীরা জয়পুরহাটের মঙ্গলবাড়ী গ্রাম থেকে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে আটক করে ২টি ট্রাকে করে জয়পুরহাট শহর প্রদৰিণ করিয়েছিল এবং তাদের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিল জয়পুরহাট কলেজ মাঠে। সেখানে আব্দুল আলীম উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশে বলেছিলেন, কলেজ ছাত্ররা, তোমরা বুঝতেই পারছ মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা। এরা কিছুক্ষণ পরেই মারা যাবে। তোমরা যদি এ রকম মুক্তিযোদ্ধা হও তোমাদের পরিণতিও এমন হবে। এর পর আব্দুল আলীমের নির্দেশে নির্দোষ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল।

জয়পুরহাট নিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, ৫ ডিসেম্বর তিনি ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা জয়পুরহাটে ঢুকেছিলেন। সেদিনই শান্তি কমিটির কার্যালয় দখল করে স্থানীয় বুদ্ধিজীবী হত্যার তালিকাসহ অন্য যে সমস্ত কাগজপত্র পান তার মধ্যে ১৯৭১ সালে ৪ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী জামায়াত নেতা মরহুম আব্বাস আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই সভার কাগজপত্রে আব্দুল আলীমের স্বাক্ষর ছিল। এ ছাড়াও জয়পুরহাটে আব্দুল আলীম কর্তৃক নিরীহ মানুষের ওপর সংঘটিত নির্যাতন, অত্যাচার ও হত্যাকা-ের আরও বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া গেছে সাক্ষ্য প্রদানকারী স্থানীয় অধিবাসীদের কাছ থেকে।

স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করা ও মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী মানুষদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে গিয়েছেন। স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জনের ২৯ বছর পর এলাকায় দাবি উঠেছে যুদ্ধাপরাধী এই রাজাকারের বিচারের।

যুদ্ধাপরাধী ঘাতক দালাল রাজাকার - ফরিদউদ্দিন চৌধুরী।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এমসি কলেজে স্নাতক শ্রেনীতে অধ্যায়নরত ফরিদউদ্দিন চৌধুরী ছিল সিলেট জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি। এক সময় সারাদেশে বদরবাহীনির কার্যক্রম শুরু হলে তিনি ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টে সভা করে সিলেট বদর বাহিনীর কার্যক্রমের সুচনা করেন। তার নেতৃত্বাধীন বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান জেনে সেসব খবর পাকবাহিনীর কাছে সরবরাহ করতেন। সেই সুত্র অনুযায়ী, পাকবাহিনী চালাত তাদের বাঙালি হত্যামিশন। এক কথায় পাকবাহিনীর সিলেটের পথপ্রদর্শক ছলেন রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ফরিদ। তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতন, তাদের সম্পত্তি দখল এবং লুটপাটে নেতৃত্ব দিতেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। জেনারেল জিয়ার আমলে অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধীর মত ফরিদও সিলেটে পদার্পণ করেন, শুরু করেন মসজিদের ইমামতি। পরবর্তীকালে শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে নিজেই সেটার অধ্যক্ষ বনে যান। '৯৬ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও হেরে যান। তবে ২০০১ সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হওয়ার পরে তার অর্থবিত্ত হয়েছে। তার দুর্নীতি ও জকিগঞ্জ উপজেলাকে উন্নয়নবঞ্চিত করার প্রতিবাদে জোট সরকারের শেষের দিকে সিলেট শহরে বসবাসরত জকিগঞ্জবাসী মানববন্বন কর্মসুচী পালন করে। এই ক্ষোভের হাত থেকে বাঁচতে সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি জকিগঞ্জ যেতেন পুলিশ ও শিবির ক্যাডার পরিবেষ্টিত হয়ে। বর্তমানে তিনি আলবারাকা প্রাইভেট লিমিটেডের জালালাবাদ স্যাটেলাইট সিটির চেয়ারম্যান, অত্যাধুনিক আলহামারা শপিং সিটির ভাইসচেয়ারম্যান সহ বহু ব্যাবসায়ে জড়িত। সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮

যুদ্ধাপরাধী ঘাতক দালাল রাজাকার - এটিএম আজহারুল ইসলাম।

জামায়াতের সহকারী সম্পাদক এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধকালে ছিলেন রংপুর জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখা কমান্ডার। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়ার বাসিন্দা আজহারুল মুক্তিযুদ্ধের সময় গোটা রংপুরকে আতঙ্কের জনপদে পরিনত করেন। জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৭ আগষ্ট পাকিস্তান বাহিনী আলবদর বাহিনীকে মিলিশিয়া বাহিনীর স্বীকৃতি দিলে ওইদিনই উৎফুল্ল আলবদর নেতা-কর্মীরা রংপুরে একটি সভার আয়োজন করে যাতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আজহারুল ইসলাম। ওই সভায় আজহারুল ও তার বাহিনী বাঙালির রক্তপানের শপথ নেয়।

আজহারুলের নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী '৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক কালাচাঁদ রায়, সুনীল বরণ চক্রবর্তী, শাহ সোলায়মান আলী, চিত্তরঞ্জন রায়, রামকৃষ্ণ অধিকারী, আব্দুর রহমান ও কালাচাঁদ রায়ের স্ত্রীকে ধরে নিয়ে কলেজ পার্শবর্তী দমদমা এলাকায় বেয়নেট চার্জ করে নির্যাতনের পর ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে আজহারুল এখন মানবরূপী দানব হিসাবে চিনহিত। স্বাধীনতাবিরোধী এই নরপিশাচ সম্প্রদায় নির্বিশেষে হিন্দু মুসলিম তরুণীদের ধরে এনে পাকবাহিনীর হাতে তুলে দিতেন। তার নেতৃত্বে ছিল ৭০ জনের একটি সশস্ত্র আলবদর স্কোয়াড যার ঘাটি ছিল রংপুর টাউন হল এলাকায়। মুক্তিবাহিনী রংপুর ঘিরে ধরলে আজহারুল '৭১-এর ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা এসেও এই নরপিশাচ থেমে থাকেনি, যোগ দেন নিজামী ও মুজাহিদের সঙ্গে। বাঙালিকে মেধাশুন্য করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এই বদরবাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ ধরে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজে স্থাপিত 'নির্যাতন সেলে' অকথ্য নির্যাতন করে। এরপর রায়েরবাজার বধ্যভুমিতে হত্যা করে এই আজহারুল, নিজামী ও মুজাহিদের নেতৃত্বাধীন বদরবাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন এই বদরবাহিনী দেশবিখ্যাত বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এ ছাড়াও এই বদরবাহিনীর নেতা হত্যা করে মুক্তিযোদ্ধা কাসিমুউদ্দিনকে।

হিংস্র এই রাজাকার জয়বাংলা স্লোগান দেওয়ার অপরাধে মারধর করে রংপুর জেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রাঙাকে এবং তার ভাই রফিকুলকে দুদিন আটকে রেখে চালায় অকথ্য নির্যাতন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে ১৬ ডিসেম্বর আজহারুল কয়েকজন সঙ্গ নিয়ে তাদের প্রিয়ভূমি পাকিস্তান পালিয়ে যান। সেখান থেকে পরবর্তীকালে চলে যান সৌদি আরব। '৭৫ পরবর্তীকালে ক্ষমতার পালাবদলে আজহারুল দেশে ফিরে আসেন এবং জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। বিগত '৯৬ ও ২০০১ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হন এবং জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।


সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮

Monday, August 2, 2010

Salahuddin Kader Chowdhury - Absolute Collaborator of the Pakistani occupation army.


Salahuddin Kader Chowdhury popularly known as Saka Chowdhury, son of Late Fazlul Kader Chowdhury (Foka Chowdhury), hails from the village Gohira under Raozan police station of Chittagong district. A member of the parliament, Salahuddin is the advisor for parliamentary affairs to the Prime Minister Mrs. Khaleda Zia and the master mind behind the communal activities in Bangladesh since 1971.

During our liberation war Saka led an extensive campaign against the liberation of Bangladesh and offered absolute collaboration to the Pakistan occupation army. The focus of all his heinous activities was his own district, Chittagong. Under the guidance of his worthy father Foka Cowdhury and supported by his brother Giasuddin Kader Chowdhury (who is an Ex-MP and failed to take people's mandate during 2001 parliamentary election from Raozan due to continued persecution on minority people and anti-social activities) and many fellow collaborators carried out anti-liberation war activities from his Good's Hill residence in Chittagong. In an article in the 8th January, 1972 issue of The Dainik Bangla the following was reported on the anti-liberation activities of Saka Chowdhury: ' Salahuddin Kader Chowdhury and his father Fazlul Kader Chowdhury used to pick up and bring hundreds of young men to their Good's Hill bungalow in Chittagong and torture them brutally. Among those unfortunate people was late Dr. Sanaullah's son. On 17 July 1971 Salahuddin picked up student leader Farooque and killed him with the help of the Pakistani soldiers. From 26 March 1971 till before the day of surrender a platoon of Pakistani soldiers was stationed to guard his bungalow. After liberation, on 18 December 1971 the freedom fighters caught Fazlul Kader Chowdhury along with his family members when they were fleeing Chittagong carrying more than 120 pounds of looted gold ornaments '.

Mohd Kamruzzaman - Principal organizer of the Al-Badr force.


Mohd Kamruzzaman was the former executive editor of the Jamati mouthpiece Daily Sangram, and presently editor of the weekly Sonar Bangla. In 1971, Kamruzzarnan was the leader of the Islami Chattra Sangha (Islamic students organization) in Mymensingh. He was also the principal organizer of the Al-Badr force. An article in the Daily Sangram on August 16,197 1, said, "A rally and symposium were organized in Mymensingh by the Al- Badr to celebrate the 25th independence day of Pakistan. The chief organizer of the Al-Badr, Mouhammed Kamruzzaman presided over the symposium held at the local Muslim Institute."

1. According to one Fazlul Huq of Sherpur area, father of a martyr, an 11 member Al-Badr squad led by Kamruzzarnan took away his son Badiuzzaman sometime in June or July in 1971. Huq said his son was taken to the Pakistan army camp in nearby Ahmednagar and murdered. After independence, the late Badiuzzaman's brother Hasanuzzaman filed a case at the Nalitabari police station, with Kamruzzaman as the principal among the 18 accused in the murder of Badiuzzaman.

2. In the same Sherpur area, one Shahjahan Talukdar told that cadres of the Al-Badr kidnapped his cousin Golam Mostafa on August 24, 197 1, in broad daylight. Mostafa was then taken to the local Al-Badr camp which was set up in a house on Surendra Mohan Road of Sherpur town. After brutally torturing Mostafa at the camp, Al-Badr forces took him to the nearby Sherry Bridge and shot him dead. Kamruzzarnan was known to have ordered the killing. Many others in Sherpur confirmed that the killing of Golam Mostafa was carried out on Kaniruzzaman's direct order.

Motiur Rahman Nizami - Commander-in-chief of al- Badr forces.


Motiur Rahman Nizami carried out a wide range of activities against the Bangladesh liberation war of 1971. Motiur was the president of Jamat's youth front, the Islami Chhatra Sangha (now known as Islami Chhatra Shibir or the Islamic Students' Association). Under Motiur's direct supervision and leadership, the al-Badr (para-militia) force was organised in order to eliminate the freedom fighters and supporters of liberation movement. Motiur was the commander-in-chief of al- Badr forces. Apart from killing the freedom fighters and supporters of liberation movement, the aim of ideological warfare waged by the al-Badr forces was to Islamization (Talibanisation) of Bangladesh. One of the main objectives of al-Badr forces was to short list the secular Bangalee intellectuals and eliminate them. Horrifying stories of killing of intellectuals by Motiur's al-badr forces were published in newspapers, home and abroad, during and after the liberation war.

1. During the war Motiur acted as one of the top Jamati ideologues instigating his cohorts and followers by means of public speech and newspaper articles to support the Pakistani occupation army in killing the freedom fighters and supporters of liberation war. In one of the issues of Daily Sangram, the Jamati mouth piece, Motiur wrote : The day is not far away when the young men of al-Badr, hand in hand with the armed forces, will defeat the Hindu forces (enemies) and raise the victorious banner of Islam all over the world, after the destruction of India. (Daily Sangram Nov 14, 1971)

2. On April 12, 1971, Motiur joined Gholam Azam and other leading collaborators such as Sabur Khan to lead a procession in Dhaka to demonstrate their support for Pakistan. The procession, under the banner of peace committee ended with a special prayer for the victory of Pakistan. (Daily Sangram April 13, 1971).

3. In Jessore, a bordering district, Motiur, in addressing the assembly of the para militia forces at the district head quarter of the Razakar force, said: In this hour of national crisis, it is the duty of every razakar to carry out his national duties to eliminate those who are engaged in war against Pakistan and Islam. (Daily Sangram Sept 15, 1971)

3. People from Motiur's home district, Pabna, have brought allegations against Motiur's direct involvement in killing, rape, arson and lootings. One such person is Aminul Islam Dablu of Brishlika village under the Bera Police Station (in Bangladesh, due to the colonial legacy, all administrative units below districts are organised under a police station, PS, hence all sub-districts are called Thana or PS). Dablu told the commission that his father Mohamed Sohrab Ali was killed on the orders of Motiur. Dablu further said that a number of people from the area were killed on Motiur's orders such as: Profulla Pramanik, Bhadu Pramanik, Manu Pramanik and Shashthi Pramanik. Dablu said there were many eye witnesses to those killings.

4. Abdul Quddus, a freedom fighter from Madhabpur village in Pabna, once spent two weeks in an al-Badr torture cell following his arrest in an uneven war. Quddus said he heard plans to kill freedom fighters and local supporters of the war were discussed and drawn up by al-Badr men under Motiur's supervision.

5. On November 26 a razakar commander named Sattar took Pakistani troops to the Dhulaupara village where 30 freedom fighters were arrested and subsequently killed. As per Quddus's testimony, Sattar carried out the execution on Motiur's order. Quddus told the commission that he managed to attend a secret meeting of al-Badr forces which Motiur presided and gave instructions to kill freedom fighters. In the meeting the al-Badr men listed the houses of Awami League leaders and the bases and hide-outs of the freedom fighters. Motiur sternly ordered his men to finish off Awami League supporters and possible bases and safe houses being used by freedom fighters were identified. Quddus said Motiur gave orders to finish off Awami League supporters and destroy bases of the freedom fighters. The day after the meeting, Al-Badr forces, in cooperation with Razakars, surrounded Brishlika village and burnt it to the ground.

6. Quddus also said Motiur himself bayoneted to death one Bateswar Saha of Madhabpur village in Sathia PS.

7. In Pabna Motiur led the killing of a young freedom fighter Latif and his group. Latif was only 19 years old and a first year student of Pabna Edward College. Latif's small group was captured by the Pakistani occupation army in an uneven combat at Dhuliuri. They were then handed over to Motiur's gang for execution. Motiur's lieutenants publicly slew Latif's co-fighters with big camp knifes especially used for slaughtering bulls for sacrifice (during Islamic festival called korbani) as a part of Islamic ritual. The bastards in Motiur's group celebrated the killing of the captured freedom fighters with cannibalistic zeal. They gouged Latif's eyes, chopped off his genitalia and tied his dead body on a stick at Shanthia (Badshah, a socialist activist was killed in the same way by one of Motiur's top killer gang-JMJB in May 2004, please see Islamist Extremism in Bangladesh page). Latif's father Sufian Paramanik is a witness to his son's brutal murder and the razakars' frenzied outburst of pleasure in killing the brave sons of the soil.

8. Latif's brother Shahjahan Ali, a freedom fighter himself from Madhabpur village, nearly met the same fate. After slaughtering Shahjahan, along with his co-fighters, in Islamic manner, Motiur's people left him taking him for dead. But Shahjahan was a die hard freedom fighter. The slayer's knife could not take his life. Deadly wounded, Shahjahan lay on ground for hours. Foxes smelled at him, dogs bit him. Fortunately his relatives came by before it was too late and saved his life. Motiur's knife could not take Shahjahan's life, but took away his voice: now Shahjahan is paralyzed and can't talk carrying a big scar on his throat-Motiur's kiss of death.

Motiur Rahman Nizami carried out a wide range of activities against the Bangladesh liberation war of 1971. Motiur was the president of Jamat's youth front, the Islami Chhatra Sangha (now known as Islami Chhatra Shibir or the Islamic Students' Association). Under Motiur's direct supervision and leadership, the al-Badr (para-militia) force was organised in order to eliminate the freedom fighters and supporters of liberation movement. Motiur was the commander-in-chief of al- Badr forces. Apart from killing the freedom fighters and supporters of liberation movement, the aim of ideological warfare waged by the al-Badr forces was to Islamization (Talibanisation) of Bangladesh. One of the main objectives of al-Badr forces was to short list the secular Bangalee intellectuals and eliminate them. Horrifying stories of killing of intellectuals by Motiur's al-badr forces were published in newspapers, home and abroad, during and after the liberation war.

1. During the war Motiur acted as one of the top Jamati ideologues instigating his cohorts and followers by means of public speech and newspaper articles to support the Pakistani occupation army in killing the freedom fighters and supporters of liberation war. In one of the issues of Daily Sangram, the Jamati mouth piece, Motiur wrote : The day is not far away when the young men of al-Badr, hand in hand with the armed forces, will defeat the Hindu forces (enemies) and raise the victorious banner of Islam all over the world, after the destruction of India. (Daily Sangram Nov 14, 1971)

2. On April 12, 1971, Motiur joined Gholam Azam and other leading collaborators such as Sabur Khan to lead a procession in Dhaka to demonstrate their support for Pakistan. The procession, under the banner of peace committee ended with a special prayer for the victory of Pakistan. (Daily Sangram April 13, 1971).

3. In Jessore, a bordering district, Motiur, in addressing the assembly of the para militia forces at the district head quarter of the Razakar force, said: In this hour of national crisis, it is the duty of every razakar to carry out his national duties to eliminate those who are engaged in war against Pakistan and Islam. (Daily Sangram Sept 15, 1971)

3. People from Motiur's home district, Pabna, have brought allegations against Motiur's direct involvement in killing, rape, arson and lootings. One such person is Aminul Islam Dablu of Brishlika village under the Bera Police Station (in Bangladesh, due to the colonial legacy, all administrative units below districts are organised under a police station, PS, hence all sub-districts are called Thana or PS). Dablu told the commission that his father Mohamed Sohrab Ali was killed on the orders of Motiur. Dablu further said that a number of people from the area were killed on Motiur's orders such as: Profulla Pramanik, Bhadu Pramanik, Manu Pramanik and Shashthi Pramanik. Dablu said there were many eye witnesses to those killings.

4. Abdul Quddus, a freedom fighter from Madhabpur village in Pabna, once spent two weeks in an al-Badr torture cell following his arrest in an uneven war. Quddus said he heard plans to kill freedom fighters and local supporters of the war were discussed and drawn up by al-Badr men under Motiur's supervision.

5. On November 26 a razakar commander named Sattar took Pakistani troops to the Dhulaupara village where 30 freedom fighters were arrested and subsequently killed. As per Quddus's testimony, Sattar carried out the execution on Motiur's order. Quddus told the commission that he managed to attend a secret meeting of al-Badr forces which Motiur presided and gave instructions to kill freedom fighters. In the meeting the al-Badr men listed the houses of Awami League leaders and the bases and hide-outs of the freedom fighters. Motiur sternly ordered his men to finish off Awami League supporters and possible bases and safe houses being used by freedom fighters were identified. Quddus said Motiur gave orders to finish off Awami League supporters and destroy bases of the freedom fighters. The day after the meeting, Al-Badr forces, in cooperation with Razakars, surrounded Brishlika village and burnt it to the ground.

6. Quddus also said Motiur himself bayoneted to death one Bateswar Saha of Madhabpur village in Sathia PS.

7. In Pabna Motiur led the killing of a young freedom fighter Latif and his group. Latif was only 19 years old and a first year student of Pabna Edward College. Latif's small group was captured by the Pakistani occupation army in an uneven combat at Dhuliuri. They were then handed over to Motiur's gang for execution. Motiur's lieutenants publicly slew Latif's co-fighters with big camp knifes especially used for slaughtering bulls for sacrifice (during Islamic festival called korbani) as a part of Islamic ritual. The bastards in Motiur's group celebrated the killing of the captured freedom fighters with cannibalistic zeal. They gouged Latif's eyes, chopped off his genitalia and tied his dead body on a stick at Shanthia (Badshah, a socialist activist was killed in the same way by one of Motiur's top killer gang-JMJB in May 2004, please see Islamist Extremism in Bangladesh page). Latif's father Sufian Paramanik is a witness to his son's brutal murder and the razakars' frenzied outburst of pleasure in killing the brave sons of the soil.

8. Latif's brother Shahjahan Ali, a freedom fighter himself from Madhabpur village, nearly met the same fate. After slaughtering Shahjahan, along with his co-fighters, in Islamic manner, Motiur's people left him taking him for dead. But Shahjahan was a die hard freedom fighter. The slayer's knife could not take his life. Deadly wounded, Shahjahan lay on ground for hours. Foxes smelled at him, dogs bit him. Fortunately his relatives came by before it was too late and saved his life. Motiur's knife could not take Shahjahan's life, but took away his voice: now Shahjahan is paralyzed and can't talk carrying a big scar on his throat-Motiur's kiss of death.

মাওলানা হাবিবুর রহমান - চুয়াডাঙ্গার কুখ্যাত রাজাকার।


জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। হাবিবুরের নেতৃত্বে এখানে ছিল পাকবাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি।

রাজাকার হাবিবুরের নেতৃত্বেই কয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাককে হাসাদহ ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা ও পরে তার লাশ গুম করে ফেলা হয়। এ ছাড়া এলাকায় পাকবাহিনীর বিভিন্ন দুষ্কর্মের নির্দেশদাতা ছিলেন এই রাজাকার।

যুদ্ধ পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারী রাজাকার হাবিবুরকে দালাল আইনে গ্রেফতার করে। শেখ মুজিব সরকারের আমলে দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীর একজন হলেন এই রাজাকার। ১৯৭৫ এর ক্ষমতার পটপরিবর্তনে রাজাকার হাবিবুরের ভাগ্যও বদলে যায়। জিয়াউর রহমান সরকার দালাল আইন বাতিল করলে অন্য রাজাকারদের সঙ্গে তিনিও ছাড়া পান।

পরবর্তীতে '৯১-এর সংসদে চুয়াডাঙ্গা-২ দামুরহুদা, জীবননগর ও সদর থেকে জামায়াতের ব্যানারে সাংসদ হয়ে অবস্থান পাকা করেন।

সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮

শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস - বাগেরহাটের কুখ্যাত রাজাকার।


জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। মুক্তিযুদ্ধকালে ছিলেন কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য। তিনি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদি গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি সমগ্র পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। এই ছাত্রসংঘেরই বর্তমান পরিমার্জিত রুপ ইসলামী ছাত্র শিবির।

ছাত্র জীবন শেষে তিনি বাগেরহাটের রামপাল মহাবিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ পদে যোগ দেন ১৯৬৮ সালে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাগেরহাটে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপততপরতা শুরু করেন। এ সময় তিনি আলবদর বাহিনীর আঞ্চলিক নেতা হিসাবে আবির্ভুত হন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসররূপে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের উপর চালান অত্যাচার পীড়ন। এ ছাড়াও নারী ধর্ষন ও লুটতরাজের সঙ্গেও তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে শাহ রুহুল কুদ্দুস আত্মগোপনে চলে যান এবং '৭৫ পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানের আমলে শাহ রুহুল কুদ্দুস অন্যান্য রাজাকারের সঙ্গে পুনর্বাসিত হন। ১৯৭৯ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতার পেশায় ছিলেন। ১৯৯১ নির্বাচনে শাহ রুহুল কুদ্দুস খুলনা-৬ কয়রা-পাইকগাছা আসন থেকে জামায়াতের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন।

সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮

মাওলানা রিয়াছাত আলি বিশ্বাস - সাতক্ষীরা আশাশুনির কুখ্যাত রাজাকার।


মুক্তিযুদ্ধকালে রিয়াছাত আলি বিশ্বাস ছিলেন সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার শান্তি কমিটির সেক্রেটারি। রাজাকার রিয়াছাত আলি নির্বিচারে হত্যা করতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধাদের। এছাড়া লুটপাট, অগ্নিসংযোগেরও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। কালীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস, প্রতাপনগরের খগেন্দ্রানাথ সরকার, সোহরাব ও আলী হত্যামিশনের হোতা ছিলেন রিয়াছাত।

এ ছাড়া '৭১-এর জুন মাসে সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুয়ার খোলপেটুয়া নদীতে মেজর জলিলের লঞ্চডুবি হলে বরিশাল অঞ্চলের নয়জন মুক্তিযোদ্ধা সাঁতরে উঠে আশ্রয় নেন প্রতাপনগরে। খবর পেয়ে রিয়াছাত বাহিনী এদের ধরে নিয়ে যায় খুলনার পাকসেনা ক্যাম্পে। সেই থেকে এই নয় মুক্তিযোদ্ধা চিরতরে হারিয়ে যান।

মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী ও তার দোসরদের নির্যাতন চরমে উঠলে বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট ও খুলনার সাধারন মানুষ শরনার্থী হিসাবে ভারতমুখী হয়। বেশীরভাগই নৌকাযোগে সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার কাছ দিয়ে যেত। আর রিয়াছাত ও তার বাহিনী এসব শরনার্থী নৌকায় চালাত লুটপাট।

'৭১ এর আগষ্টে এই রাজাকার খুলনার কয়রার খুকরোঘাটি লঞ্চঘাটে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন। এরপর তাকে কয়রার মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যাম্পের দায়ীত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের প্রতিবেশী হওয়ায় তার মহানুভবতায় প্রানভিক্ষা দেওয়া হয় রিয়াছাতকে এবং তাকে নিরাপদে প্রতাপনগরের নিজ বাড়িতে পৌছে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। কৃতঘ্ন রিয়াছাত ২০০১ সালে প্রানভিক্ষা দেওয়া মহানুভব ব্যাক্তিটির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে রক্তের ঋন শোধ করেন।

রাজাকার রিয়াছাত জেনারেল জিয়ার আমলে ১৯৭৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হয়ে নিজের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেন। এরপর ১৯৯১তে ৫ম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সংসদে পা রাখেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোট থেকে জামায়াতের টিকিটে সাংসদ হন।

সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮

মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল - সাতক্ষীরায় গনহত্যার নেতৃত্বদানকারী কুখ্যাত রাজাকার।


মহান মুক্তিযুদ্ধকালে সাতক্ষীরা জেলা শান্তি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল। সদর উপজেলার খলিলনগর গ্রামের লুতফর রহমান মন্ডলের(লালচাঁদ মন্ডল) পুত্র খালেক স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি বিরোধিতা করা ছাড়াও মেতে উঠেছিলেন বাঙালি নিধনে। হত্যা, ধর্ষন, লুন্ঠন, হিন্দুদের নির্যাতনসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। তার নেতৃত্বে কাথন্ডা গ্রামের আবুল হোসেন গাজীকে রাজাকাররা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

নিজ গ্রামের মঞ্ছুর আলি সরদার, কাথন্ডার হিমেপান্তি, বলদঘাটা গ্রামের সামসুর রহমান, অহেদ'কে তার নেতৃত্বে পাকবাহিনীর বৈকাবী ক্যাম্পে নিয়ে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করা হয়। বাশিয়াপাড়ার তাহের আলীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় খালেক মন্ডল তাকে দাঁতভাঙা বিল থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় খালেক মন্ডল পাকবাহিনীকে নারী সরবরাহের ভুমিকা পালন করেন। খালেক বাহিনী কাথন্ডা গ্রামের শহর আলি দফাদার, মোহর আলি দফাদার, বদরুজ্জামান মল্লিক, আব্দুর রাজ্জাক সরদার ও দেলোয়ার হোসেন সরকার সহ ৭ মুক্তিযোদ্ধাকে বৈকাবী ক্যাম্পে ধরে এনে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হলেও সে যাত্রায় তারা প্রানে বেঁচে যান। '৭১-এর এপ্রিল মাসে সাতক্ষীরা সরকারী বালক বিদ্যালয়ের পাশে যে ভয়াবহ গনহত্যা সংঘটিত হয় তারও নেতৃত্বে ছিলেন খালেক মন্ডল। ওই হত্যামিশনে সেখানে আশ্রয় নেওয়া শত শত শিশু নারী পুরুষ যারা ভারতে শরনার্থী হিসাবে আশ্রয় নিতে যাচ্ছিল তাদের নৃশংসভাবে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে খালেক বাহিনী। এলাকায় বহুস্থানে বাঙ্কার করে সেখানে নিরপরাধ মানুষকে হত্যাশেষে মাটিচাপা দেয় এই খালেক বাহিনী। খালেক মন্ডল বাঙ্কার খুড়তে নির্দেশ দিলে, সে নির্দেশ পালনে অস্বীকার করায় মুক্তিযুদ্ধকালে নিজগ্রামের ঈমান আলীকে গুলি করে হত্যা করে রাজাকার খালেক বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত হওয়ার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় কদমতলা ব্রিজের কাছে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হন।

অগনিত মানুষের প্রানসংহারী খালেক বন্দী হলেও প্রানভিক্ষা পান এবং পরবর্তীকালে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত ইসলামী থেকে সাংসদ হিসাবে জয়ী হন। জেএমবির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮।

বুদ্ধিজীবী হত্যার অন্যতম প্রধান জল্লাদ আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত শুরু।


বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী, ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান জল্লাদ, আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন ভঙ্গের অভিযোগ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ক্রিমিনাল ডিভিশন বলছে, আশরাফুজ্জামান খান যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিল তখন সে তার আলবদর বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করেছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন এবং নাগরিকত্ব গ্রহণ করার সময়ও বিষয়টি গোপন করা হয়েছিল। আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে পাওয়া এসব অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে ও সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তার সম্পর্কে আরও যেসব তথ্য ও প্রমাণ বাংলাদেশ সরকারের কাছে রয়েছে তা দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। অপরাধ শাখার বিশেষ তদন্ত অফিসের পরিচালক এলি এম. রোজেনবাম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে এ অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সেপ্টেম্বরে। সরকার এ অনুরোধে সাড়া দিতে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র সংগ্রহ করছে।

এলি রোজেনবামের চিঠিতে লেখা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মোহাম্মদ আশারাফুজ্জামান খান ১৯৪৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। একাত্তর সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আশরাফুজ্জামান খান ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং আলবদর বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় সদস্য। আশরাফুজ্জামান আলবদর বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এই বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সরাসরি হত্যা, লুণ্ঠন, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। চিঠিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আশরাফুজ্জামান খান এবং তার বাহিনী মিরপুরে মুনীর চৌধুরী, আবুল খায়ের, গিয়াসউদ্দীন আহমেদ, রাশিদুল হাসান, ড. ফায়জুল মহি এবং ড. মোহাম্মদ মর্তুজাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হত্যা করে। আলবদর বাহিনী পূর্বদেশ'র সম্পাদক সাংবাদিক আ ন ম গোলাম মোস্তফাকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে তার এসব কাজের জন্য ১৯৯৭ সালের গত ২৪ সেপ্টেম্বর আশরাফুজ্জামানের নামে রমনা থানায় মামলা (নং-১১৫/১৯৯৭) করা হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (ডবিস্নউসিএফএফসি) তার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে।

চিঠিতে বলা হয়, 'জেনোসাইড '৭১ এন্ড একাউন্ট অফ দি কিলারস এন্ড কলাবরেটরস এবং সাউথ এশিয়া ট্রাইবুনাল (নং-২৩,৩০ ডিসেম্বর ২০০২) উল্লেখ আছে, ১৯৭১ সালের শেষ দিকে যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান খানের বাড়ি থেকে পাওয়া তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জনের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীর নাম লেখা ছিল। একই সঙ্গে ১৯৭১ সালে হত্যা করা হয়েছে এমন বুদ্ধিজীবী এবং পরবর্তী সময়ে যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি অর্থাৎ গুম করা হয়েছিল তাদের নামও ডায়েরিতে লেখা ছিল। জেনোসাইড '৭১-এ আরও উল্লেখ আছে, জামায়াতে ইসলামী এসব খুন এবং গুম হয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়া আশরাফুজ্জামান খানের ড্রাইভার মফিজউদ্দিন সাক্ষী দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ অধ্যাপক হত্যার প্রধান ঘাতক ছিল আশরাফুজ্জামান খান।

চিঠিতে আশরাফুজ্জামানের তদন্ত ও অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ১৯৭১ সালে খানের যেসব কর্মকা- সম্পর্কিত সব নথিপত্র ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি রয়েছে তা দিয়ে সহায়তা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগ থেকে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো_ বাংলাদেশ থেকে পালানোর সময় যে ডায়েরিটি আশরাফুজ্জমান খান তার ৩৫০নং নাখালপাড়ার বাসায় ফেলে গিয়েছিল সে ডায়েরিটি, পূর্বদেশ সাহিত্য সাময়িকীর সম্পাদককে অপহরণের ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য অথবা অন্যান্য মূল দলিল, আশারাফুজ্জামান খানের ড্রাইভার মফিজউদ্দিনের দেয়া জিজ্ঞাসাবাদ বা ভাষ্যের কপি, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ডবিস্নউসিএফএফসি'র ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল প্রকাশিত ১ হাজার ৫৯৭ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা, ১৯৯৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আশরাফুজ্জামানের নামে রমনা থানায় মামলার রেকর্ড ও তথ্যাদি। এছাড়া আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কাছে যেসব তথ্য-প্রমাণ বা যেসব রেকর্ড রয়েছে তাও চাওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব তথ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য ও কপি যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের আঞ্চলিক আইন কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে পরামর্শ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র হার্ভি সারনোবিৎজ গতকাল 'সংবাদ'কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার সব সময় বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সহায়তা করে আসছে। এ উদ্যোগ তারই ধারাবাহিকতা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরই অঙ্গীকার ছিল ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান অঙ্গীকারের একটি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। মহাজোট সরকার গঠনের পর এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাবও পাস করা হয়। এর মধ্য দিয়েই নতুন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়। বিচারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত যুদ্ধপরাধীদের খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়।

কৃতজ্ঞতা : দৈনিক সংবাদ, ৮ নভেম্বর ২০০৯

Chowdhury Mueen-Uddin - The master mind behind the assassinations of intellectuals.


Chowdhury Mueen-Uddin - This note summarises the evidence and references published so far to establish that Chowdhury Mueen-Uddin (1) – a citizen of UK, the vice-chair of East London Mosque and Treasurer of Muslim Aid – was involved in war crimes during the 1971 Bangladesh War of Independence.

Background:

After the independence of India in 1947, Pakistan was divided into two wings – East and West Pakistan. The people of East Pakistan – who were predominantly Bengali – increasingly felt economically and culturally oppressed by West Pakistan. In 1970, the political party, the Awami League, which represented the aspirations of those in East Pakistan who sought greater autonomy won the elections for the whole of Pakistan. However, the West Pakistan leaders refused to establish the parliament, and on the night of 25 March 1971 its army initiated a military crackdown named “Operation Searchlight” in Dhaka, killing thousands of people in the city including students in Dhaka University campus(2). This was the beginning of the war that resulted in the creation of Bangladesh out of what was East Pakistan. It is known as the Bangladesh Liberation War or War for the Independence of Bangladesh. During the war, there were widespread killings of the civilians and other atrocities(3). Towards the end of the War, a section of the intellectual community of East Pakistan were murdered, allegedly by the AL-Badr force, the militia wing of local collaborators of the Pakistani army(4).

Chowdhury Mueen-Uddin’s role in Bangladesh Genocide:

In March 1971, Chowdhury Mueen-Uddin, a journalist at the Daily Purbodesh, was an active member of the Islami Chaatra Sangha (ICS) – the student wing of the Jammat-I-Islami which actively opposed Bangladesh liberation war and aided the Pakistani military.

In August 1971, the Jamaat-e-Islami, according to its own newspaper the Daily Sangram(5), set up the Al-Badr Squad comprising members of the ICS to violently combat the forces supporting Bangladesh’s liberation. Mueen-Uddin became a member of the Al-Badr.

Evidences:

A. In 1995, in a Channel 4 documentary(6), researchers presented a series of evidence and eyewitnesses that directly implicated Chowdhury Mueen-Uddin as the leader of the gang in at least two disappearances and killings, and one attempted disappearance.

1. Abduction and disappearance of Mofazzal Haider Chaudhury, Dhaka University Professor of Bengali:

A family member present at the scene states: “they stormed into the house brandishing guns and with gamchas over their faces. While being taken away, [Prof Chaudhury] pulled down the gamcha from one of the men’s faces, I recognised him immediately. It was Mueen-Uddin; I knew him because he used to come to our house to study (7).”

2. Abduction and disappearance of Serajuddin Hossain, Journalist Serajuddin Hossain’s wife identified Chowdhury Mueen-Uddin as one of the men who took her husband(8).

3. Attempted Abduction of Ataus Samad, BBC Journalist.

It is known that Mueen-Uddin was involved in attempting to abduct BBC journalist Ataus Samad. Two tenants were woken up by a gang of men and saw the faces of the leader. After independence, when a photograph of Mueen-Uddin’s face was published they both recognised him as the man leading the abductions, that night(9).

B. Case Filed in Bangladesh with subsequent case statements by the intelligence agency:

Farida Banu, younger sister of Professor Giasuddin Ahmed, filed a case in this connection with Ramna Police Station in Bangladesh on September 24, 1997 against two Al-Badr cadres–Chowdhury Mueen-Uddin and Ashrafuzzaman–for killing her brother on December 14 in 1971(10), resulting in a police investigation by the Criminal Investigation Department (CID). The investigation report named Mueen-Uddin as one of the prime accused in relation to abduction and disappearance of eight Dhaka University professors on that night including Prof Ahmed(11). According to the case statement, on 14 December 1971, Al-Badr members Mueen-Uddin and Ashrafuzzaman picked up Giasuddin Ahmed from Muhsin Hall premises, blindfolded him and whisked him in a microbus to an undisclosed location. He never came back.

C. Newspaper reports immediately after the intellectual killings naming Mueen-Uddin as the prime suspect based on confessions by captured Al-Badr leaders.

Bangladesh Obsever reported on December 29th, 1971, “Chowdhury Mainuddin, a member of the banned fanatic Jamaat-e-Islami, has been described as the “operation-in-charge” of the killing of intellectuals in Dhaka by Abdul Khaleq, a captured ring leader of the Al-Badr and office bearer of the Jamaat-e-Islami.”

New York Times reports on 2 January 2 1972 – “to his fellow reporters on the Bengali-language paper where he worked, Chowdhury Mueenuddin was a pleasant, well-mannered and intelligent young man…there was nothing exceptional about him except perhaps that he often received telephone calls from the leader of a right-wing Moslem political party. But, investigations in the last few days show that those calls were significant. For Mr. Mueenuddin has been identified as the head of a secret, commando like organization of fantatic Moslems that murdered several hundred prominent Bengali professors, doctors, lawyer and journalists in a Dhaka brick yard. Dressed in black sweaters and khaki pants, members of the group, known as Al-Badar, rounded up their victims on the last three nights of the war…Their goal, captured members have since said, was to wipe out all Bengali intellectuals who advocated independence from Pakistan and the creation a of a secular, non Moslem state.”

Mueen Uddin’s Post Independence Rehabilitation in the United Kingdom:

Soon after the war, Mueen-Uddins’s involvement in the intellectual killings came to light and several newspapers including the New York Times published articles alleging that he was the Operation-in-Charge of the killings(12). Although the authorities sought Mueen-Uddin’s arrest in connection with these allegations, he however managed to evade arrest and investigation, and travelled to the UK where he ultimately obtained residence and nationality without disclosing his past antecedents. Once in London, along with other members of the Jamaat-e-Islami who had escaped to London, he set up the Dawatul Islam(13) which was in effect the UK front of the Jamaat(14). A split subsequently took place amongst the leadership of Dawatul Islam, and Mueen-Uddin then established Islamic Forum Europe, which continues to be the UK front of the Jamaat-e-Islami(15). As recently as November, 2007, Islamic Forum Europe invited the head of Jamaat-e-Islami, Matiur Rahman Nizami, another alleged war criminal, from Bangladesh to their events as special guests. Mueen-Uddin’s base was however East London Mosque – and he became its Vice Chairman in the 1990s(16). Till this day he is Vice-Chair of this mosque. Mueen-Uddin also became active as Treasurer (former Chairman) of Muslim Aid UK(17) [See Annexe-II]; Deputy Director of Leicester based Islamic Foundation; and the Special Editor of Weekly Dawat(18). Chowdhury Mueen-Uddin’s rehabilitation continued as Government decided to engage with Muslim Council of Britain in the name of engaging with Muslims. In 2003, Prince Charles visited Islamic Foundation headed by Mueen-Uddin(19).

References

1. Spelling variations: “Choudhry,” “Choudhury” or “Chy”; “Mueenuddin,” “Moinuddin,” “Mainuddin”, or “Moin Uddin.”
2. Eye witness accounts recorded in the award winning documentary Tale of the Darkest Night (2003), directed by Kawsar Chowdhury, produced by Promiti Prava Sruti Obolokan Kendra.
3. For a wider picture on the genocide committed by Pakistani army in collaboration with the Al-Badr and Razakars see this. See also collection of declassified documents published by George Washington University National Security Archive on selective genocide committed in Bangladesh. See copy of the “Blood Telegram” sent by US diplomat Archer Kent Blood (Consul General posted in Dhaka/East Pakistan) at that time protesting against the atrocities and selective genocide committed by the Pakistani army. For Pakistani military’s involvements with the collaborating forces (i.e., Jamaat, Razakar, Al-Badr etc) see Siddiq Salik, Witness to Surrender (Oxford University Press, 1977 New Delhi). See Brigadier General M Sakhawat Hussain, ‘Missling Links of History. See Pakistan Observer news item dated 4 November 1971 on Pakistani General A K Niazi’s involvement with Al-Badr, Razakar and Al-Shams forces; also the Pakistan Observer item on 8 August 1971 reporting the East Pakistan Razakars Ordinance 1971 and its stipulations. For statistics on death toll, see also: Death Tolls for the Major Wars and Atrocities of the Twentieth Century and this, and Rudolph J Rummel, Statistics of Democide: Genocide and Mass Murder Since 1900.
4. See: ‘125 Slain in Dacca Area Believed Elite of Bengal,’ New York Times 19 December 1971. The newsreport reads: “At least 125 persons, believed to be physicians, professors, writers and teachers were found murdered today in a field outside Dacca. All the victims’ hands were tied behind their backs and they had been bayoneted, garroted or shot. They were among an estimated 300 Bengali intellectuals who had been seized by West Pakistani soldiers and locally recruited supporters.” In the Annexture, see accounts by Jon Rohde, a USAID doctor whose letter is reprinted from the Record of the US Senate as ‘Recent events in East Pakistan’ in Sheelendra Kumar Singh et al. (eds), Bangladesh Documents, vol. 1 (Madras: B. N. K. Press 1971), 349-/51. See also, Pat Sammel’s account, another American evacuee who wrote in the Denver Post, which was subsequently placed in the House Record by Representative Mike McKevitt of Colorado on 11 May 1971. Reprinted from those records in, Singh et al. at 357.
5. See Nizami’s role in 1971.
6. Twenty Twenty Television’s documentary War Crimes File, directed by David Bergman and produced by Twenty Twenty Television broadcast as part of the Dispatches Series by Channel 4 aired on 3 May 1995—recording eye witness accounts of Mueen-Uddin’s involvement in disappearances of journalists and other intellectuals in December 1971. See also, Second Report on the Findings of the People’s Inquiry Commission on the Activities of the War Criminals and the Collaborators (Summary of the investigation published on 26 March 1995 by National People’s Inquiry Commission, Chaired by Sufia Kamal).
7. See War Crimes File, n.6 above.
8. Ibid.
9. Ibid.
10. See Ramna Police Station case no- 115/1997. The First Information Report (FIR) was filed on 24 September 1997, under sections: 120(b), 448, 364, 302, 201, 34 and 114 of the Penal Code.
11. Shahiduzzaman – Raising Hopes, Only to be Betrayed, New Age Bangladesh, 16 December 2007. See also: ‘Govts overlooked filing of cases under International Crimes Act’, Daily Star 14 December 2007.
12. See Bangladesh Observer news item on 29 December 1971. See also, Fox Butterfield’s report in New York Times on 3 January 1972.
13. See n.6 above.
14. Ibid.
15. Ibid.
16. Ibid.
17. See screenshot of Muslim Aid website describing Mueen-Uddin as former Chairman and as well as present Treasurer
18. See Muktodhara piece on war criminals and collaborators
19. Prince of Wales Acknowledges Islamic Contribution to Europe

The MCB : The Taint of Genocide
By Effendi | Published: October 7, 2009
In May 1995 a Channel 4 documentary ‘Bangladesh, War Crimes File’ directed by David Bergman made allegations of the involvement of three British Bangladeshis in the genocide committed in East Pakistan (now Bangladesh) in 1971.

Chowdhury Mueen-Uddin, one of those individuals named in the documentary, was alleged to have been instrumental in plotting the assassinations of intellectuals, journalists and students with the al-Badr death squads, assisted by the Jamaat-e-Islami. The program included eyewitness accounts directly linking Mueen-Uddin to the murders of two men; Dr. M H Choudhaury, a professor at the University of Dhaka, and Najmul Huq, a journalist.

Channel 4 received a letter from Chowdhury Mueen-Uddin’s lawyers and very little of that documentary has been heard of since. Until today, when Delwar Hossain re-opened the discussion on the Bangladesh War Crimes and Mueen-Uddin’s involvement in them in an article on CiF:

A Channel Four documentary from 1995 made allegations of involvement by British Bangladeshis in the genocide. Chowdhury Mueen-Uddin, director of Muslim Spiritual Care Provision in the NHS, who was until recently vice-chairman of the East London Mosque and London Muslim Centre and was involved in setting up the Muslim Council of Britain, is one of the most prominent people to be accused of having carried out war crimes.

Mueen-Uddin is alleged to have been part of a group that abducted and “disappeared” people. Witnesses at the time describe seeing him kidnapping a university professor and a journalist in Dhaka during the war. Mueen-Uddin told the documentary makers “all the accusations being made against me are … utterly false and malicious, and either politically motivated or instigated otherwise”.

Having left the newly created country of Bangladesh for London, Mueen-Uddin, along with other members of JI set up Islamic Forum Europe, an avowedly Islamist organisation connected to the East London Mosque.

Being an extremely litigious sort of individual, published reports which recounted these allegations have almost always been silenced by a swift libel notice from Mueen-Uddin’s lawyers and it is very likely that the Guardian might also be forced to retract that article in a similar manner.

An article on the Channel 4 documentary contained this eyewitness account of how Mueen-Uddin was recognised by the relatives of one of his victims:

Another of Jamaat and Al-Badr’s tasks was to supply women as prostitutes for the Pakistani army. ‘They didn’t differentiate between Hindus or Muslims or anything,’ says Syeda Jebunessa Hoque, who worked at a tea garden in Sylhet. ‘They just grabbed any girl they could find and raped them. They raped girls in front of their fathers. Jamaat and Al Badr took thousands of women this way.’ But when Abu Sayeed is confronted with this evidence, he just claims it to be ridiculous.

In Dhaka, Al-Badr’s Operations-in-Charge was Chowdhury Mueen Uddin, who is now the Vice Chairman of the East London Mosque. At the time, Mueen worked as a journalist. ‘He was the first person to mention the formation of Al-Badr, before any other newspapers had any idea,’ says colleague Atiqur Rahman. Mueen was relatively new in Dhaka but was already well known in Feni. ‘We had informers who told us of his frequent visits to Al-Badr headquarters,’ says Professor Joynal Abedin, a member of the Mukti Bahini charged with reporting on Al-Badr and Jamaat. Another freedom fighter, Giasuddin Ahmed Nanu says, ‘We were given a list of ten or twelve people whom headquarters believed to be Al-Badr collaborators; Chowdhury Mueen Uddin was on the top of that list.’

During the final days of the occupation, the Pakistani army was on the verge of collapse, having been soundly beaten back by the Mukti Bahini and Indian army which was now fighting on their side. This culminated in Al-Badr’s last effort at destroying what would be the new country of Bangladesh, the infamous massacre of intellectuals in Rayerbazaar. Dolly Chowdhury recounts the day her husband, Moffazel Hyder Chowdhury, was taken away by Al-Badr. ‘They stormed into the house brandishing guns and with gamchas over their faces. While being taken away, my husband pulled down the gamcha from one of the men’s faces, I recognised him immediately. It was Chowdhury Mueen Uddin; I knew him because he used to come to our house to study.’

The website GenocideBangladesh has an impressive catalogue of references, articles and citations on Mueen-Uddin’s alleged crimes. It reference this report on Mueen-Uddin from a New York Times article from January 1972:

[T]o his fellow reporters on the Bengali-language paper where he worked, Chowdhury Mueenuddin was a pleasant, well-mannered and intelligent young man…there was nothing exceptional about him except perhaps that he often received telephone calls from the leader of a right-wing Moslem political party. But, investigations in the last few days show that those calls were significant. For Mr. Mueenuddin has been identified as the head of a secret, commando like organization of fantatic Moslems that murdered several hundred prominent Bengali professors, doctors, lawyer and journalists in a Dhaka brick yard. Dressed in black sweaters and khaki pants, members of the group, known as Al-Badar, rounded up their victims on the last three nights of the war…Their goal, captured members have since said, was to wipe out all Bengali intellectuals who advocated independence from Pakistan and the creation a of a secular, non Moslem state.

Mueen-Uddin hasn’t done too badly for himself since coming to the UK after the Bangladeshi genocide. Here is his bio in his own words:

Director – Muslim Spiritual Care Provision in the NHS (2005 – now)

Formerly Deputy Director: the Islamic Foundation, Markfield, Leicestershire (1995 – 2005).

He is a graduate ( B.A ) from the University of Dhaka, Bangladesh and is married with 4 children.

Chowdhury Mueen-uddin has served as a member of the Multi Faith Joint National Working Party (MFJNWP) since its inception in 1998 and became a member of of its successor organisation the Multi Faith Group for Healthcare Chaplaincy (MFGHC). He has over 25 years of experience working with the community organisations and served and on the Board of a number of distinguished charities. These include among others Board member and vice chairman – As Shahada Housing Association, Board member Labo Housing Association and currently Gateway Housing Association,

Chairman – Muslim Aid (at present board member,

Vice Chairman – East London Mosque and London Muslim Centre,

Chairman – Governing Body, the London East Academy ( a private secondary school).

He served as the Secretary General of the Council of Mosques UK and Eire for 2 terms (1984 – 1988) and was involved in setting up the Muslim Council of Britain (MCB).

He occassionally contributes to news papers and journals and some of his articles were published in journals in housing releated sector such as ‘Regeneration’ and ‘Planning’.

Delwar Hussain calls for the prosecution of the war criminals of East London for which he must be applauded.

Among the numerous ways in which consecutive Bangladeshi governments have lagged behind public opinion, the inaction with regard to trying the alleged war criminals is the least forgivable for many. Undeterred, Bengali civil society has continued to be vociferous in making sure this issue does not disappear.

Unless trials are seen to be free and fair, they will be perceived as political point-scoring by the Awami League. It is incumbent on the British Bangladeshi community, together with wider British society, to join the demands to bring the Bangladeshi war criminals to justice. It is also time to rethink a period of history which has continuing ramifications for today.

Until these allegations are cleared up once and for all, the British government should discontinue any further dealings with the MCB. And politicians should think carefully before they patronise East London Mosque and the London Muslim Centre in the credulous assumption that they symbolise quasi-democratic spiritual establishments representative of the Bangladeshi community of East London. Delwar Hussain’s article should be distributed to any politician, such as Boris Johnson and Lord Phillips, who have been foolish enough accept invitations from these establishments or are thinking of doing so.

A tragedy of our time


The three men are respected members of the community; one the vice chairman of the East London Mosque, one the head teacher at an Islamic school, and the other the Imam of a mosque in Birmingham. But thirty six years ago, it was a different story. The three were members of the Jamaat-e-Islam and Al-Badr groups in Bangladesh during the war of 1971, collaborators that the Pakistani army used to terrorise the civilian population. Evidence of their brutality can be found from the unnamed bodies found in the Rayerbazar mass grave, to the memories of women who had been shanghaied into being sex slaves for the occupying army. All three are now British citizens, never having been questioned for their crimes. The Channel 4 documentary ‘Bangladesh, War Crimes File’ brings these questions back, literally to their doorsteps, stating ‘they will now have to answer’.

The documentary by David Bergman follows the exploits of these three, among the many war criminals still wanted for the atrocities in 1971, through interviews and evidence given by victims, bystanders and survivors of their actions. Also emphasised is the fact that trail and extradition of these war criminals are possible under British law as by the terms of the Geneva Convention. ‘If someone has committed war crimes, in whatever country, they can be caught regardless of wherever they that,’ says Lord Archer of Sandwell, Vice Chairman, Parliamentary War Crimes Group.

On the night of March 25, 1971, the Pakistani army entered Dhaka, setting up barricades and imposing a curfew. A man shows us an old photo of his father and younger brother lying dead on the streets of Old Dhaka, killed by the Pakistanis. ‘My brother was stabbed to death, and my father was shot once in the chest,’ he says. The scene then shifts to Dhaka University, with footage of Hindu students being machine gunned to death on the lawns. ‘This is where they found his body,’ says Meghna Guhuathukura of her father, a member of the English faculty of the university, pointing to a small shrine in the campus. ‘There were over three hundred bodies here.’

‘We had no idea of what was to be unleashed that night by the Pakistanis,’ says Kamal Hossain, foreign minister of Bangladesh from 1973-1975. The Pakistani army found some support from the populace in the name of religious jihad against the separatists. Abu Sayeed, who now runs an Islamic school in the East End of London, was one of them. When questioned, he retorts, ‘I challenge any of you, here or in Bangladesh, to prove these allegations.’

Bergman travels to Sylhet, Sayeed’s birthplace and home, where he speaks to Sayeed’s old acquaintances, Shabbir Jalalabadi. ‘He was involved with the student wings of Jamaat-e-Islam from the start,’ he says. Firmly pro-Pakistani, Jamaat brought out several processions in the city chanting slogans against the rebels, and issued a fatwa against the Mukti Bahini. Jamaat’s leader in Sylhet at the time was Lutfur Rahman, now the imam at the Bordesley Green Mosque in Birgmingham. He was to lead processions to known followers of the Awami League, beat them and loot their homes. A leaflet was issued throughout the city stating, ‘we must eliminate people who are traitors, miscreants, separatists and rumour mongers…’ ‘Lutfur Rahman gave a speech in which he listed names of people who had connections with the Awami League and the Mukti Bahini, and ruled that their house would be burnt to the ground,’ says Mofique Uddin. When questioned by Bergman at his front door, Lutfur claimed to be too sick to answer questions, and that he wasn’t there at the times of the fatwa.

By May of 1971, the Mukti Bahini had escalated its operations against the occupiers, and the Pakistanis realised that they needed more help from local collaborators. In Dhaka, Al-Badr, a para-military wing, was created to further assist them; Abu Sayeed was the senior commander in Sylhet. ‘They were formed under the false pretext of jihad,’ says an eye-witness, who chooses to remain anonymous. ‘In Sylhet, Lutfur Rahman was still the head, but Abu Sayeed was his number two, and the cadre in charge of executions.’

Another of Jamaat and Al-Badr’s tasks was to supply women as prostitutes for the Pakistani army. ‘They didn’t differentiate between Hindus or Muslims or anything,’ says Syeda Jebunessa Hoque, who worked at a tea garden in Sylhet. ‘They just grabbed any girl they could find and raped them. They raped girls in front of their fathers. Jamaat and Al Badr took thousands of women this way.’ But when Abu Sayeed is confronted with this evidence, he just claims it to be ridiculous.

In Dhaka, Al-Badr’s Operations-in-Charge was Chowdhury Mueen Uddin, who is now the Vice Chairman of the East London Mosque. At the time, Mueen worked as a journalist. ‘He was the first person to mention the formation of Al-Badr, before any other newspapers had any idea,’ says colleague Atiqur Rahman. Mueen was relatively new in Dhaka but was already well known in Feni. ‘We had informers who told us of his frequent visits to Al-Badr headquarters,’ says Professor Joynal Abedin, a member of the Mukti Bahini charged with reporting on Al-Badr and Jamaat. Another freedom fighter, Giasuddin Ahmed Nanu says, ‘We were given a list of ten or twelve people whom headquarters believed to be Al-Badr collaborators; Chowdhury Mueen Uddin was on the top of that list.’

During the final days of the occupation, the Pakistani army was on the verge of collapse, having been soundly beaten back by the Mukti Bahini and Indian army which was now fighting on their side. This culminated in Al-Badr’s last effort at destroying what would be the new country of Bangladesh, the infamous massacre of intellectuals in Rayerbazaar. Dolly Chowdhury recounts the day her husband, Moffazel Hyder Chowdhury, was taken away by Al-Badr. ‘They stormed into the house brandishing guns and with gamchas over their faces. While being taken away, my husband pulled down the gamcha from one of the men’s faces, I recognised him immediately. It was Chowdhury Mueen Uddin; I knew him because he used to come to our house to study.’

Dulu Rahman, whose brother Golam Mustofa had been taken by Al-Badr, resorted to searching at the Rayerbazaar mass grave as the last option for finding his body. ‘We went through bodies that were rotting and melting, holding cloth to our faces to keep out the stench. We somehow searched like that but never found his body.’

After the Pakistani surrender, Atiqur Rahman pointed out one Khaleq Majumdar to the Mukti Bahini as a member of Al-Badr. ‘He claimed innocence, and said that Mueen Uddin was the one responsible, as he was the operations in charge. He was willing to put it in writing too.’ Khaleq was later pardoned for providing evidence against Mueen. Joynal Abedin was given the task of arresting Mueen, but it was found that he had already escaped the country. In more recent times, Mueen had been one of those connected to the fatwa issued to Salman Rushdie.

‘The Geneva Convention is designed to aid the capture of these criminals that are hiding in other countries,’ says Lord Archer. ‘If it can’t do that, then the laws are rather pointless.’ Journalist Enayetullah Khan, recorded on film in Rayerbazaar in 1971 and then by Bergman twenty four years later, says, ‘It is a tragedy of our time that these people now hold positions of power in our country as law makers and such. It is our national failure.’

Sources : http://www.newagebd.com/2007/dec/16/victoryday07/v08.html

ফাদার অফ অল রাজাকারস - মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ।


মাওলানা ইউসুফের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামে। জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ একজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী। একাত্তরে তিনিই প্রথম খুলনায় প্রতিষ্ঠা করেন রাজাকার বাহিনী। শান্তি কমিটিরও তিনি ছিলেন খুলনা জেলার আহ্বায়ক। তারই নেতৃত্বে পরিচালিত হতো সেখানকার নয়টি প্রধান নির্যাতন সেল। রাজাকার বাহিনীর ৯৬ ক্যাডার মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাস সেসব সেলে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের ওপর। সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হতো শহরের প্রধান চারটি স্থানে।

জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দালালি করার দায়ে মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইনে মাওলানা ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রে দেখা যায়, একাত্তর সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত ডা. মালেকের মন্ত্রিসভায় বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর দুজন সদস্য ছিলেন। এঁদের একজন এই মাওলানা ইউসুফ ছিলেন রাজস্ব মন্ত্রী। অপরজন সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। আব্বাস আলী খান বেঁচে নেই। মুক্তিযুদ্ধের পর এঁরা দুজনই গ্রেপ্তার হন। ওই মন্ত্রিসভার এক সদস্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর মাওলানা ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে মাওলানা ইউসুফকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, কথা বলতে পারব না।’ গত মার্চ মাসে মাওলানা ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে কিছুই তাঁর মনে নেই।

মালেক মন্ত্রিসভার সদস্য ও খেলাফত মজলিসের একাংশের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর তিনিসহ ওই মন্ত্রিসভার সব সদস্য গ্রেপ্তার হন। আদালত তাঁকেও (ইসহাক) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। মাওলানা ইসহাক আরও জানান, তাঁর মামলার রায়ের কয়েক দিন আগে জামায়াতের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা এ কে এম ইউসুফকেও একই সাজা দেন আদালত। ১৯৭২ সালের ১৭ ডিসেম্বর পত্রপত্রিকায় সে সংবাদ ছাপা হয়। বাংলার বাণী পত্রিকায় ওই সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘দালাল মন্ত্রী ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিন প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন, জামায়াতের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফই ওই ব্যক্তি। তিনি এরূপ দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা করেছেন। তিনি জানান, মালেক মন্ত্রিসভার সব সদস্যেরই মুক্তিযুদ্ধের পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১২ আগস্ট মালেক মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আগপর্যন্ত তৎকালীন জামায়াতের অন্য শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি মাওলানা ইউসুফও রাজাকার বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি একাত্তর সালের মে মাসে খুলনার খানজাহান আলী সড়কের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াত কর্মী নিয়ে প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। জামায়াতের দলীয় মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামসহ সে সময়ের সব সংবাদপত্রে এ খবর ছাপা হয়।

গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিনের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ে (ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ও ১৯৯৮ সালে পুনর্মুদ্রিত) এ কে এম ইউসুফকে রাজাকার বাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে (পৃ-৪২২)। ১৯৭১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আব্বাস আলী খান ও মাওলানা ইউসুফসহ মালেক মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকেরা সংবর্ধনা দেন। পরদিন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় তা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয় তাতে দেখা যায়, ওই অনুষ্ঠানে মাওলানা ইউসুফ বলেছিলেন, ‘যুব সমাজকে পাকিস্তান সৃষ্টির মূল লক্ষ্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি বলেই তারা আজ নিজেদের পাকিস্তানী ও মুসলমান পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে।’

একাত্তর সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের সংগ্রাম-এর প্রথম পাতায় তেজগাঁও থানা শান্তি কমিটি মালেক মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবরে দেখা যায়, এ কে এম ইউসুফ তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই ইসলামের দুশমনরা এর অস্তিত্ব ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন পন্থায় তারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। মার্চ মাসের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপকেও ইউসুফ এই ষড়যন্ত্রের পরিণাম বলে উল্লেখ করেন।

একাত্তর সালের ১৮ অক্টোবর সংগ্রাম-এ প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, মালেক মন্ত্রিসভার সদস্য (রাজস্ব মন্ত্রী ইউসুফ) হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার যেকোনো অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের পেছনে আমাদের সাহসী জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।’

২৮ নভেম্বর করাচিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে মাওলানা ইউসুফ বলেছিলেন, ‘রাজাকাররা আমাদের বীর সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় হামলার মোকাবিলা করছে।’ তিনি রাজাকারদের হাতে আরও আধুনিক অস্ত্র দেওয়ার দাবি জানান। পরদিন ২৯ নভেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশ হয়।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ২২ মে ২০০৮

জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা - বাগেরহাট, জানুয়ারি ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুটপাট ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বাগেরহাটের একটি আদালতে মামলা হয়েছে।

মাওলানা ইউসুফের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামে। মামলায় জামায়াত নেতা ছাড়াও বিএনপির সাবেক সাংসদসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের খাদিজা বেগম। হাকিম আব্দুস সালাম খান অভিযোগটি এজাহার হিসাবে নথিভুক্ত করার জন্য শরণখোলা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মিঞা আব্বাস উদ্দিন, শরণখোলা উপজেলার খাদা গ্রামের মতিয়ার রহমান মতি, পশ্চিম খাদার আব্দুল হামিদ ফরাজী, রায়েন্দা বাজারের লতিফ পঞ্চায়েত, আবুল হারেজ খান, লুৎফর রহমান, আব্দুল হক আকন, ওহাব খান, গোলবুনিয়ার দুই সহোদর ইদ্রিস মোল্লা ও হাবিব মোল্লা, একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, মালিয়া রাজাপুরের তোফাজ্জেল হোসেন, কদমতলার দুই সহোদর সুলতান মৃধা ও নূর উদ্দিন মৃধা, খোন্তাকাটা গ্রামের আমির হোসেন মুন্সী, আব্দুর রব গাজী, আমির হোসেন, ইব্রাহিম, জিলবুনিয়ার সুলতান আহমেদ, আমড়াগাছিয়ার আলতাফ আলী, মঠের পাড়ের হাবিব আকন, রাজৈরের মোতালেব কবিরাজ, কালিয়ার খাল এলাকার মজিদ তালুকদার, বানিয়াখালীর সোলায়মান আকন, পশ্চিম বানিয়াখালীর আব্দুল হামিদ খান, দক্ষিণ খোন্তাকাটার নুহু ফরাজী, আমির আলী মীর, মালিয়ার দেলোয়ার হোসেন, তাফালবাড়ি বাজারের সেকেন্দার হাওলাদার, উত্তর তাফালবাড়ির আব্দুর রউফ হাওলাদার, হামেছ পাহলোয়ান, খুড়িয়াখালীর মোসলেম আকন, বকুলতলার আব্দুল কাদের চৌকিদার, নজির মৃধা ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ক্লে রোড এলাকার আবুল বাশার।

এজাহারে বলা হয়, মাওলানা ইউসুফ ও মিঞা আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে আসামিরা ১৯৭১ সালে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজার নতুন থানা বিল্ডিং এর দোতালায় ক্যাম্প করে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা ও লুটপাট করে। ওই বছর ৭ জুন সকালে বাদীর স্বামী ইসমাঈল হোসেন হাওলাদার ও খুড়িয়াখালী গ্রামের আসমত মুন্সীসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালালে উভয়পক্ষে তুমূল গুলি বিনিময় হয়।

এক পর্যায়ে মুক্তিবাহিনীর গুলি ফুরিয়ে গেলে ইসমাঈল হোসেন ও আসমত মুন্সী রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন। পরে আসামিরা তাদের পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং জবাই করে লাশ রায়েন্দা খালে ফেলে দেয়। দুই তিনদিন পর ইসমাঈলের লাশ উদ্ধার করা গেলেও আসমতের লাশ পাওয়া যায়নি।

পরদিন বিকালে আসামিরা বাদীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ধান, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শরণখোলা থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ধরনের কোনো মামলা এখনো তার হাতে এসে পৌঁছায়নি। পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

বাগেরহাটের মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাওলানা ইউসুফ ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার বাহিনীর খুলনা অঞ্চলের সংগঠক ছিলেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমএসবি/১৮২১ ঘ.