Thursday, March 31, 2011

যুদ্ধাপরাধী ঘাতক দালাল রাজাকার - ফরিদউদ্দিন চৌধুরী।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এমসি কলেজে স্নাতক শ্রেনীতে অধ্যায়নরত ফরিদউদ্দিন চৌধুরী ছিল সিলেট জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি। এক সময় সারাদেশে বদরবাহীনির কার্যক্রম শুরু হলে তিনি ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টে সভা করে সিলেট বদর বাহিনীর কার্যক্রমের সুচনা করেন। তার নেতৃত্বাধীন বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান জেনে সেসব খবর পাকবাহিনীর কাছে সরবরাহ করতেন। সেই সুত্র অনুযায়ী, পাকবাহিনী চালাত তাদের বাঙালি হত্যামিশন। এক কথায় পাকবাহিনীর সিলেটের পথপ্রদর্শক ছলেন রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ফরিদ। তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতন, তাদের সম্পত্তি দখল এবং লুটপাটে নেতৃত্ব দিতেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। জেনারেল জিয়ার আমলে অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধীর মত ফরিদও সিলেটে পদার্পণ করেন, শুরু করেন মসজিদের ইমামতি। পরবর্তীকালে শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে নিজেই সেটার অধ্যক্ষ বনে যান। '৯৬ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও হেরে যান। তবে ২০০১ সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরী সংসদ সদস্য হওয়ার পরে তার অর্থবিত্ত হয়েছে। তার দুর্নীতি ও জকিগঞ্জ উপজেলাকে উন্নয়নবঞ্চিত করার প্রতিবাদে জোট সরকারের শেষের দিকে সিলেট শহরে বসবাসরত জকিগঞ্জবাসী মানববন্বন কর্মসুচী পালন করে। এই ক্ষোভের হাত থেকে বাঁচতে সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি জকিগঞ্জ যেতেন পুলিশ ও শিবির ক্যাডার পরিবেষ্টিত হয়ে। বর্তমানে তিনি আলবারাকা প্রাইভেট লিমিটেডের জালালাবাদ স্যাটেলাইট সিটির চেয়ারম্যান, অত্যাধুনিক আলহামারা শপিং সিটির ভাইসচেয়ারম্যান সহ বহু ব্যাবসায়ে জড়িত। সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮