১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, ঘাতক দালালরা হত্যা করেছে ৩৩ লক্ষ নিরস্ত্র সাধারন মানুষ, ১ কোটি মানুষ গৃহহারা, ৪.৫ লক্ষ মা-বোনের উপর পাশবিক নির্যাতন। এই অপরাধের বিচার হোক।
Monday, August 2, 2010
শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস - বাগেরহাটের কুখ্যাত রাজাকার।
জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। মুক্তিযুদ্ধকালে ছিলেন কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য। তিনি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদি গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি সমগ্র পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। এই ছাত্রসংঘেরই বর্তমান পরিমার্জিত রুপ ইসলামী ছাত্র শিবির।
ছাত্র জীবন শেষে তিনি বাগেরহাটের রামপাল মহাবিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ পদে যোগ দেন ১৯৬৮ সালে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাগেরহাটে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপততপরতা শুরু করেন। এ সময় তিনি আলবদর বাহিনীর আঞ্চলিক নেতা হিসাবে আবির্ভুত হন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসররূপে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের উপর চালান অত্যাচার পীড়ন। এ ছাড়াও নারী ধর্ষন ও লুটতরাজের সঙ্গেও তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হলে শাহ রুহুল কুদ্দুস আত্মগোপনে চলে যান এবং '৭৫ পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানের আমলে শাহ রুহুল কুদ্দুস অন্যান্য রাজাকারের সঙ্গে পুনর্বাসিত হন। ১৯৭৯ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতার পেশায় ছিলেন। ১৯৯১ নির্বাচনে শাহ রুহুল কুদ্দুস খুলনা-৬ কয়রা-পাইকগাছা আসন থেকে জামায়াতের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন।
সুত্র ও সৌজন্যে - সাপ্তাহিক ২০০০, ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৮